আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণ অ হত্যা কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদা আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ ওই মামলায় দোষীর সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। গত শনিবার শুনানিতে আরজি কর কাণ্ডে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(ধর্ষণ), ৬৬(ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩(১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয়কে। এরপরে আজ সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। এদিন শুনানি শুরুতে বিচারক আসামিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ধর্ষণকালীন আঘাতে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই সঞ্জয়ের পরিবার সম্পর্কে জানতে চান বিচারক। তার অন্য কোন বক্তব্য আছে কিনা তাও জানতে চান। উত্তরে সঞ্জয়, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সে জড়িত নয় বলে পুনরায় দাবি করে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগও করে সে। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরজি করের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানালেও সঞ্জয়ের আইনজীবী সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
এদিকে, আরজিকর মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আজ শিয়ালদা আদালত চত্বর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। সাধারণ নাগরিকদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসা হয়। কোর্ট চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। ৮০ জন মহিলা পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে।