আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আদালতের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে যে প্রচার চলছে তা ভিত্তিহীন বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম আজ স্বাস্থ্য ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে তাঁর পোস্টিং বাতিল করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ফের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়ে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে। আর জি করের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। তিনি আরও বলেন, চিকিত্সকদের কর্মবিরতির জেরে সব থেকে সমস্যায় পড়ছেন গরিব রোগীরা। কারণ তারাই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর সব থেকে বেশী নির্ভরশীল। তাই রোগীস্বার্থের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যসচিব।
এদিকে তরুণী PGT চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র ধৃত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আজ আবার শিয়ালদা আদালতে তোলা হয়। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, RG KAR কান্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আজ ও আবার CGO কমপ্লেক্সে জেরা করা হচ্ছে। এই নিয়ে অষ্টম দিনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে CBI।
এদিকে, এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গের চিকিত্সক গোষ্ঠীকে ডিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে, চিকিত্সক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্টবেঙ্গল। মঞ্চের কয়েকজন চিকিত্সক গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ডাক্তার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গ গোষ্ঠীর বেশ কিছু ডাক্তার বরাবর আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি চক্রে তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত। একইসঙ্গে করদাতাদের অর্থ খরচ করে মামলা লড়ার জন্য রাজ্য সরকারের আইনজীবী নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।