আজ মহাবীর জয়ন্তী। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও পালিত হচ্ছে জৈন ধর্মের ২৪ তম তীর্থঙ্কর ভগবান মহাবীরের জন্মবার্ষিকী ।
কলকাতা সহ বিভিন্ন স্থানে মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
জৈন মন্দিরগুলি সাজিয়ে তোলা হয়েছে আলোর মালায় ।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে দেশবাসী বিশেষ করে জৈন সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও জৈন সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মহাবীর জয়ন্তীর প্রাক্কালে গতকাল কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জৈন সম্প্রদায়ের একটি সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় তাঁর সরকার দায়বদ্ধ। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার ও আর্জি জানান তিনি ।
এদিকে অশান্তির আবহে বাতিল হয়েছে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের শতাব্দী প্রাচীন দিগম্বর জৈন সম্প্রদায়ের মহাবীর জয়ন্তীর শোভাযাত্রা। এবছর বাদ রাখতে হয়েছে পথপরিক্রমাও। এবছর ঘরোয়া পরিবেবেশে জৈন মন্দিরে নামমাত্র আয়োজনে মহাবীর জয়ন্তী উযযাপন করছেন জৈন ধর্মাবলম্বীরা । অন্যদিকে জিয়াগঞ্জ, বহরমপুরেও এবছর আড়ম্বর নেই মহাবীর জয়ন্তীতে।
উল্লেখ্য তিন/ চারশো বছর আগে সুলতানি সাম্রাজ্যের শেষে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, লালগোলা, জিয়াগঞ্জ বহরমপুরের মত বর্ধিঞ্চু জনপদে ব্যাবসা সুত্রে আসেন জৈন সম্প্রদায়ের ব্যাবসায়ীরা। পরে তারা এখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। গড়ে তোলেন একাধিক জৈন মন্দির৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা এখনও মহাবীর জয়ন্তীতে তাদের পালনীয় ধর্মাচার সম্প্রীতির আবহে মুর্শিদাবাদে উদযাপন করে আসলেও সুদীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম তাতে ছেদ পড়লো।