মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

February 12, 2025 10:13 PM

printer

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আজ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১২ লক্ষ টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আজ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১২ লক্ষ টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেছে। বাজেটের মোট আয়তন ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকার বেশি। অর্থমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেট পরিকল্পনায় নারী ক্ষমতায়নকর্ম সংস্থানকৃষি ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ন্যায্য পাওনার অভাবে আর্থিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য, উন্নয়নের পথ অব্যাহত রাখার সংকল্প ঘোষণা করেছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান। বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বাড়তি চার শতাংশ মাহার্ঘ ভাতা সহ বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পথশ্রীবাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রয়েছে

রাজ্য সরকার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের কল্যাণে নদী বন্ধন নামে একটি প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ রাজ্য বিধানসভায় শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এজন্য পরিকল্পনা নির্মাণ ও তা রূপায়ণের উদ্দেশ্যে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের তিনটি প্রধান নদী অববাহিকা ও ৩৯টি নদী উপ-অববাহিকা ছাড়াও এই নদীগুলির সঙ্গে যুক্ত জলাভূমি সংলগ্ন এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।

     স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার কথাও আজকের বাজেট প্রস্তাবে ঘোষণা করেছেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য ৭০ হাজার আশা কর্মী এবং এক লক্ষেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে স্মার্টফোন দিতে বাজেটে ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।

     ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এবং গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা করে।

     পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ১৫-শো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।

      বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আগামী অর্থবর্ষে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। এজন্য আরও ৯ হাজার ৬-শো কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে হলো ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

চা-শিল্পে কৃষি ও আয়কর ছাড়ের সুবিধা ২০২৬-এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কর্মশ্রী প্রকল্পে ৬১ কোটি শ্রম দিবস তৈরি করা হবে।

   রাজ্য সরকারী কর্মীদের মহার্ঘ্যভাতা চার শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। পয়লা এপ্রিল থেকে রাজ্য সরকারী কর্মী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ্যভাতা বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।

  বাজেট বক্তৃতায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। রাজ্যে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে।

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সব দেখুন