অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে সি বি আই আজ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ নিয়ে ১৬ দিন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর আধিকারিকেরা সি জি ও কমপ্লেক্সে জেরা করে সন্দীপ ঘোষকে। এরপর তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সি বি আই এর দুর্নীতি দমন শাখা।
উল্লেখ্য, আর জি করের তরুণী পি জি টি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে । তার নামে উঠে আসে আর্থিক দুর্নীতি সহ নানান অভিযোগও। ৯ ই অগাস্টের ওই ঘটনার পর আবাসিক চিকিৎসক , পড়ুয়া, থেকে শুরু করে সকলেই সন্দীপের অপসারণ কিংবা পদত্যাগের দাবিতে সরব হন। আন্দোলনের চাপে পড়ে ১২ ই অগাস্ট তিনি অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেন। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তা গ্রহণ না করে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। সেখান থেকেও তাঁর অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এরই মধ্যে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় সন্দীপকে ছুটিতে যেতে। সেই থেকে ছুটিতেই ছিলেন সন্দীপ। পরে অবশ্য আন্দোলনের চাপে তাঁকে সেই পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সেই দিন হাজিরা দেননি সন্দীপ। পর দিন অবশ্য সল্টলেকের রাস্তা থেকে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। সেই গাড়িতে সিবিআইয়ের এক আধিকারিকও ছিলেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। তার পর আদালতের নিরদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তের দায়িত্ব ও দেওয়া হয় সি বি আই কে। সেই থেকে সি বি আই দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করে।