সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানো শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকার বৈঠকে বসতে চলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পৌরোহিত্যে আজ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রস্তাবিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা সচিব ছাড়াও রাজ্য সরকারের অন্যান্য আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে, বিরোধীরা এই বৈঠকে গোলমাল বাধাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের গতকাল তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন জট খুলতে, কিন্তু বিরোধীরা তা চান না। শিক্ষকদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
এদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিয়োগ দুর্মীতির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, তাঁদের বাঁচানোর জন্য রাজ্য সরকার সহ সব রাজনৈতিক দলকে রাস্তা বের করতে হবে বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারাদের একাংশ। শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা, শীর্ষ আদালতের রায় ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই পরিণতির দায় রাজ্য সরকারের ওপরেও চাপিয়েছেন তাঁরা। চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে মেহবুব মন্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে তাঁরা যাবেন। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করতে সমস্ত নথিপত্র যাচাই ও পুনরায় তদন্তের দাবি জানান তিনি।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন, নিয়োগ দুর্নীতির সম্পূর্ণ দায় এসএসসি এবং রাজ্য সরকারের।
যতজনকে চিহ্নিত করা গেছে তাদের বাতিল করে বাকিদের বহাল রেখে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।